নারীর প্রতি সহিংসতা বলতে কেবল মারধরকেই বোঝায় না, মানসিক নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত। যেমন: প্রতিনিয়ত গালিগালাজ করা, হুমকি দেওয়া ও ম্যানিপুলেশন, যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া, নির্যাতনের জন্য আপনাকে দোষ দেওয়া বা আপনাকে ‘গ্যাসলাইটিং’ করা।
বাংলাদেশে প্রতি তিনজনে একজন নারী ঘরে বাইরে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে এটা নিয়ে কোনো প্রতিবাদ হচ্ছে না।
আমি
শপথ করছি যে, আজ থেকে যেখানেই নারী নির্যাতন দেখবো সেখানেই প্রতিবাদ করবো।
নারীর প্রতি সহিংসতা বলতে কেবল মারধরকেই বোঝায় না, মানসিক নির্যাতনও এর অন্তর্ভুক্ত। যেমন: প্রতিনিয়ত গালিগালাজ করা, হুমকি দেওয়া ও ম্যানিপুলেশন, যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া, নির্যাতনের জন্য আপনাকে দোষ দেওয়া বা আপনাকে ‘গ্যাসলাইটিং’ করা।
শারীরিক নির্যাতন বলতে আঘাত করা, চেপে ধরা বা জিনিসপত্র ছুঁড়ে মারা ইত্যাদি ।
অর্থ বা সম্পদে আপনার অধিকার নিয়ন্ত্রণ করা, বেতন নিয়ে নেয়া, আপনার কাজ করা বন্ধ করে দেয়া বা আপনাকে দেনায় ফেলে দেয়াকে অর্থনৈতিক নির্যাতন বলে।
একজনের উপর অন্যজনের চাপিয়ে দেওয়া অনিচ্ছাকৃত যৌন আচরণকে যৌন নির্যাতন বা উৎপীড়ন বলা হয়। যখন প্রত্যক্ষভাবে স্বল্প সময়ের জন্যে অথবা পরোক্ষভাবে জোর করা হয় তখন তাকে যৌন লাঞ্ছনা বলা হয়।
ডিজিটাল মিডিয়ায় হেনস্তার শিকার হলে যেমন: অবমাননাকর টেক্সট পাঠালে, আপনার ডিভাইসগুলিতে অ্যাক্সেস দাবি করলে, স্পাইওয়্যারের সাহায্যে আপনার ওপরে নজরদারি করলে বা অনলাইনে আপনার ছবি শেয়ার করলে সেটা প্রযুক্তিগত নির্যাতন।
যেকোনো মেলা বা উৎসবে কিংবা রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় কেউ যদি উত্ত্যক্ত করে সেটাকে ইভ টিজিং বলা হয়।
নারী নির্যাতনের শিকার হলে অবশ্যই আপনার পরিবারকে (বাবা, মা, ভাই, বোন) বিষয়টি জানান এবং তাদের সহায়তা নিন।
নারী নির্যাতনের শিকার হলে আপনার শিক্ষক বা বিশ্বস্ত বন্ধুবান্ধবদের বিষয়টি জানান এবং তাদের সহায়তা নিন।
নারী নির্যাতনের শিকার হলে প্রয়োজন হলে প্রতিবেশিদের সহায়তা নিন।
নারী নির্যাতনের শিকার হলে আপনার নিকটস্থ থানায় অথবা জরুরি নম্বরগুলোতে কল করুন।
হ্যাঁ। চলাফেরার সময় উত্ত্যক্তের শিকার হলে সেটাও নারী নির্যাতনের মধ্যে পড়ে।
হ্যাঁ। জোরপূর্বক উপহার বা টাকা চাওয়া অর্থনৈতিক নির্যাতনের মধ্যে পড়ে।
এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হলে সবার আগে নিজে প্রতিবাদ করুন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বিশ্বস্ত সহকর্মীদের জানান, প্রয়োজনে আইনের সহায়তা নিন।
পরিবার বা বিশ্বস্ত কাউকে জানান। কেউ না থাকলে আইনের সহায়তা নিন।
হ্যাঁ। আমাদের দেশে গণপরিবহনে চলাচল করা কিশোরী, তরুণী ও নারীদের ৬৩ শতাংশ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। এর মধ্যে প্রায় ৪৭ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার হন। যৌন হয়রানির শিকার এই নারীদের প্রায় অর্ধেকসংখ্যক (৪৫ শতাংশ) পরবর্তী সময় মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হলে সাথে সাথে প্রতিবাদ জানান।
এক্ষেত্রে সন্তান বাসায় ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। স্কুল/কলেজে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই সন্তানের সাথে বন্ধুত্ব করুন। কাছে ডেকে সুন্দরভাবে জিজ্ঞাসা করুন। স্কুল/কলেজ বা বাইরে কারও দ্বারা হেনস্তার শিকার হচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন
নারী নির্যাতন বিষয়ক যেকোনো পরামর্শ বা সহযোগিতার জন্য কল করুন
Copyright 2024 | Design & Developed by Asiatic MCL